শুধু পূর্ব ভারত নয় দেশের স্নায়ু চিকিৎসার মানচিত্রের অন্যতম উজ্জ্বল নাম ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স কলকাতা, এ বছর পয়লা বৈশাখের দিন 13 তম বর্ষে পদার্পণ করল|
সংস্থার 13 তম প্রতিষ্ঠা দিবস এ আই এন কে পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশেষ সেমিনার, এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক সহ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার সন্মনীয় আন্দলিব ইলিয়াস, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার সহ, শহরের বিশিষ্ট জনেরা, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র জনাব ফিরহাদ হাকিম অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে, তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে জানান যে জনপ্রতিনিধি হিসেবে এবং মেয়র হিসেবে সংস্থার প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং আগামী দিনে যে কোন বিষয়ে সাধ্যমত পাশে থাকতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ, প্রতিষ্ঠা দিবসের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষ অথিতি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম জানান রাজ্যে নিউরো মেডিসিন ও নিউরো চিকিৎসা খুব বেশি জায়গায় হয় না, সরকার এ বিষয়ে নতুন করে পদক্ষেপ নিচ্ছে, কিন্তু এর মধ্যেই আই.এন.কে, বছরের পর বছর ধরে নিউরো চিকিৎসায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে অগ্রগতির যে ধারা বজায় রেখেছে তা অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং উল্লেখযোগ্য|

সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট স্নায়ু চিকিৎসক ডা: আর পি সেনগুপ্ত এক একান্ত আলাপচারিতায় জানান, সংস্থার খ্যাতির এই শীর্ষে পৌঁছে ও থেমে থাকার কোনো প্রশ্ন নেই, তিনি জানান শুধু হাসপাতাল নয় আগামী দিনে ‘স্নায়ু তীর্থ’ নামের একটি মেডিকেল কলেজ ও ইউনিভার্সিটি তৈরি করার স্বপ্ন বা পরিকল্পনা তাঁদের রয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে সরকার এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রচুর সাহায্য প্রয়োজন সে কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি|

প্রতিষ্ঠা দিবসের এই অনুষ্ঠানে সংস্থার কর্ণধার ডা: সেনগুপ্ত, সূচনা করেন দু’দিনব্যাপী ( 16 এবং 17 ই এপ্রিল) এক ‘লাইভ সার্জারি’ ওয়ার্ক শপের, যেখানে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নামী নিউরো ও স্পাইনাল অর্থোপেডিক চিকিৎসকরা|
ডক্টর সেনগুপ্ত আরো জানান, এই হাসপাতালে স্নায়ু চিকিৎসা ক্ষেত্রের বিশ্বমানের মানের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার সরঞ্জাম যেমন এখানে ব্যবহার করা হয়, তেমনি আছেন সর্বক্ষনের সুদক্ষ- অভিজ্ঞ ডাক্তাররা, যারা হাসপাতাল এর বাইরে আর কোথাও প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন না, এবং তাদেরও নিয়মিত বিভিন্ন মডিউলে নিদির্ষ্ট বিষয়ের ওপর যেমন স্ট্রোক, পারকিনসন্স ডিজিজ, টিউমার, ইত্যাদি জটিল রোগ ও সার্জারির উপরে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, ফলত চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীরা এখানে এক ছাদের তলায় 24 ঘন্টার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ পেয়ে থাকেন, এবং অতিমারীর সময়ও এর কোন ব্যত্যয় ঘটেনি| শুধু তাই নয় আই এন কে, এর বিশ্বমানের চিকিৎসার পরিসেবা, রোগীদের উন্নততর চিকিৎসার জন্য ভিন রাজ্যে পাড়ি দেবার প্রবণতাও কেও অধিকাংশে কমিয়ে দিয়েছে|
নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগোতে চায় আই.এন.কে, আশা করা যায় মহানগর খুব শীঘ্রই পেতে চলেছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরো উন্নততর পরিষেবা, এবং আরো একটি একই ক্যাম্পাসের ভেতরে হাসপাতালসহ স্নায়ু ও অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রের একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়|