দীর্ঘদিন ধরে, রক্তে অনিয়ন্ত্রিত সুগারের কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তখন তাকে বলে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির কারণ
কিডনির কাজ হল, রক্তকে ছেঁকে দূষিত পদার্থকে মূত্রের আকারে বের করে দেওয়া। পাশাপাশি শরীরের পক্ষে দরকারি উপাদান ধরে রাখাও কিডনির কাজ। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এই ছাঁকনিটাকে অকেজো করে দেয়। ফলে দরকারি উপাদানও বেরিয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে প্রোটিনের কথা বলা যায়। ইউরিনে প্রোটিনের উপস্থিতি ডায়াবেটিস নেফ্রোপ্যাথির প্রথম লক্ষণ।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির লক্ষণগুলি কি?
- পা ফোলা
- রক্তচাপ বৃদ্ধি
- রক্তাল্পতা
- খিদে কমে যাওয়া
- সুগার বারংবার নেমে যাওয়া।
কাদের ঝুঁকি বেশি ?
ডায়াবেটিকরা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খান। খাদ্যাভ্যাস বদলান। প্রতিদিন ৩৫ মিনিট হাঁটুন। সুগারের সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ক্ষতি দ্রুত হয়। তাই হাই ব্লাডপ্রেশার থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ওষুধ খান নিয়মিত।
ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির চিকিৎসা কি?
নুন, ঘি, মাখন, তেল খাওয়া কমাতে হবে। উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাদ্য যেমন কলা, শুকনো ফল, টক ফল কম খেতে হতে পারে। জলপান নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। রোগীকে কিছু ওষুধও দেওয়া হয়। এভাবে দীর্ঘদিন জীবন কাটানো সম্ভব। তবে কিডনি ৯০ শতাংশ খারাপ হলে ডায়ালিসিস করতে হয়। এরপর আসে কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রসঙ্গ।
মনে রাখবেন সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের নির্দেশ মানুন। কারণ মাত্রাতিরিক্ত সুগার কিডনির পাশাপাশি অন্যান্য অঙ্গেরও মারাত্মক ক্ষতি করে।