Search
Close this search box.

পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার-এর লক্ষণ ও চিকিৎসা

পেনাইল বা পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার একটি জটিল রোগ। তবে অন্যান্য অঙ্গে কর্কটরোগের তুলনায় লিঙ্গের ক্যান্সারের ঘটনা অপেক্ষাকৃত কম। ২০২০ সালে সমগ্র বিশ্বে পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার থেকে প্রায় ১৩২১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও ভারতে লিঙ্গের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। যখন লিঙ্গের সুস্থ কোষগুলি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে এবং সেই বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় সেই পর্যায়ে পুরুষাঙ্গের টিউমার হয়। পুরুষাঙ্গ থেকে ক্যান্সার কাছাকাছি গ্রন্থি, অন্যান্য অঙ্গ এবং লিম্ফ নোড সহ শরীরের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

পেনাইল বা পুরুষাঙ্গের ক্যানসার যত আগে নির্ণয় হয় তত ভালো। তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয় এবং রোগ থেকে মুক্তিও পাওয়া যায়। রোগ নির্ণয়ে দেরি হলে ব্যাধি গুরুতর রূপ ধারণ করতে পারে। তাড়াতাড়ি নির্ণয় করা গেলে উন্নততর চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োগ আগে আগে করা সম্ভব। আমাদের দেশে এ বিষয়ে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। অনেকেই পুরুষাঙ্গের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে লজ্জা পান। ফলে রোগ নির্ণয়ে দেরি হয়ে যায়। 

সাধারণত পুরুষমানুষেরা প্রস্রাব করার সময় নিজের লিঙ্গ দেখতে পান। কখনো প্রস্রাব করার সময়ে আবার কখনো লিঙ্গ স্পর্শ করে অস্বাভাবিক কিছু টের পান তারা। এখানে উল্লেখ্য মুসলমান ও ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে পুরুষাঙ্গের আগার দিকের মেমব্রেন কেটে দেওয়ার রেওয়াজ আছে যাকে circumcision (খৎনা) বলা হয়। সারকমসিজন করা থাকলে পুরুষাঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। যে সব পুরুষদের খৎনা করানো হয় না সাধারণত তাদের পেনাইল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তা সত্বেও প্রতিটি পুরুষের নিজের লিঙ্গের কোনও পরিবর্তন সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিৎ। লিঙ্গে কোনও অস্বাভাবিক উপসর্গ টের পেলেই লজ্জাসংকোচ ত্যাগ করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিৎ।

পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের লক্ষণ:

লিঙ্গের ত্বকের একটি অংশ পুরু হয়ে যায় অথবা সেখানকার রঙ পাল্টে যেতে পারে। লিঙ্গে কোনও লালচে দাগ অথবা ফুসকুড়ি লিঙ্গে কোনও ঘা অথবা আলসার যার থেকে রক্তপাত হতে পারে লিঙ্গে কোনও মাংসপিণ্ড। ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হল, টেস্টিকল বা অণ্ডকোষে ব্যথাহীন একটি লাম্প বা পিণ্ডের অস্তিত্ব টের পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে ব্যথা হয় না বলে অনেক ক্ষেত্রে রোগী কিছু বুঝতেই পারেন না। তাই অণ্ডকোষে কোনো পিণ্ড তৈরি হয়েছে কিনা সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। লিঙ্গের মধ্যে ছোটো, খসখসে অসমান উঁচুনিচু অংশ বা crusty bumps, লিঙ্গের ত্বকের নীচে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব লিঙ্গে ফোলাভাব লক্ষ্য করা যায়।

মনে রাখা দরকার, কখনও কখনও শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণের জেরে অথবা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হিসেবেও এই সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তার ওপরে, সাধারণত এই সব উপসর্গ অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম দিয়ে চিকিৎসায় সেরে যায়। কিন্তু অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম লাগানোর পরেও এই সব উপসর্গের মধ্যে যে কোন একটি যদি ফিরে আসে তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এছাড়া যদি পুরুষাঙ্গে এমন কোনও ঘা সৃষ্টি হয়ে থাকে যা নিজের থেকে সারছে না, তাহলে সেটিকে ক্যান্সার হিসাবে সন্দেহ করার কারণ রয়েছে। যদিও মেডিকাল টেস্টের রিপোর্ট ক্যানসার বলে না জানালে নিঃসন্দেহ হওয়া যাবে না। মোট কথা, সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। লিঙ্গের ক্যানসার বেশি ছড়িয়ে পড়ার পর নির্ণয় হলে সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের কারণ

লিঙ্গের ক্যান্সারের কারণ পরিষ্কার করে জানা যায়নি। চিকিৎসকেরা একাধিক বিষয়কে এর জন্য দায়ী করেন। অপরিচ্ছন্নতা একটি অন্যতম কারণ তো বটেই। দেহ থেকে বার হওয়া তরল পদার্থ লিঙ্গের সামনের দিকের ত্বকে আটকে গেলে পেনাইল টিউমারের কারণ হয়ে ওঠে। বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে ধূমপান পেনাইল ক্যান্সারের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এইডসের মতো রোগ হলেও পেনাইল ক্যান্সার হয়ে যায়। যে সমস্ত পুরুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন তাঁদের লিঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কম। সেই সঙ্গে সারকমসিজন করানো পুরুষদের পেনাইল ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কম।

পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের বেশি ঝুঁকির মুখে কারা ?

ষাটের বেশি বয়সী পুরুষেরা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি না মানা অনুন্নত পরিবেশে সঠিক স্যানিটেশন বিহীন জায়গার বাসিন্দারা, ধূমপান করেন যে সব পুরুষ, যে সব পুরুষের কোনও যৌন সংক্রমণ যেমন হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (HPV) হয়েছে তারা এই রোগে আক্রান্ত হন।

রোগ নির্ণয়

লিঙ্গে কর্কটরোগ নির্ণয় করার জন্য, ডাক্তারকে রোগীর শারীরিক পরীক্ষা করতেই হবে এবং নির্দিষ্ট ডায়গনিস্টিক টেস্টগুলিও করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষার সময়, ডাক্তারকে রোগীর লিঙ্গ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ডাক্তার দেখে নেবেন লিঙ্গে কোনও পিণ্ড বা ঘা আছে কিনা। রোগীকে একাধিক টেস্ট করতে দেওয়া হয়।

i. বায়োপসি :- যদি ক্যান্সার বলে সন্দেহ করা হয়, তাহলে ডাক্তার বায়োপসি করতে বলবেন। বায়োপসিতে রোগীর লিঙ্গের চামড়া থেকে একটি ছোট নমুনা কেটে নেওয়া হয়। সেটির কোষগুলি ক্যান্সারে আক্রান্ত  কিনা তা পরীক্ষা করতে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়।

ii. সিস্টোস্কোপি :- যদি বায়োপসির টেস্টে ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে ক্যান্সার ছড়িয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তার সিস্টোস্কোপি করতে বলবেন। এই পদ্ধতিতে সিস্টোস্কোপ নামক একটি যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। সিস্টোস্কোপ প্রধানত একটি ছোট ক্যামেরা যার প্রান্তদেশে আলো থাকে। এই টেস্ট করার সময় চিকিৎসক লিঙ্গের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি আশেপাশের অঙ্গগুলির গঠন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। সিস্টোস্কোপি বলে দেবে লিঙ্গের ক্যানসার আশেপাশের অঙ্গগুলিতে কতটা ছড়িয়েছে বা আদৌ ছড়িয়েছ কিনা।

iii. এমআরআই :- কখনও কখনও লিঙ্গের এমআরআই টেস্ট করা যেতে পারে। এই টেস্টের রিপোর্ট হাতে এলে  লিঙ্গের অভ্যন্তরীণ কোষগুলিতে ক্যান্সারের আক্রমণ রোধ করা যায়।

চিকিৎসা

প্রাথমিক স্তরেই কর্কটরোগ নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসা করে সারিয়ে দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। টিউমার যদি লিঙ্গের ত্বকের শীর্ষে থাকে তাহলে  শুধুমাত্র ত্বকের ক্রিম দিয়েই সেটির চিকিৎসা করা যেতে পারে। তবে ক্রিম দিয়ে এই ধরণের টিউমার চিকিৎসার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। ছোট ক্ষতের চিকিৎসার জন্য বাহ্যিক বিকিরণও ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসার অন্যান্য কয়েকটি পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে-

i. কেমোথেরাপি :- কেমোথেরাপিতে ক্যানসার কোষ দূর করতে রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। লিঙ্গের ক্যান্সার লিম্ফনোড ও অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়লে যুগপৎ মিলিয়ে মিশিয়ে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে, সিসপ্লাটিন এবং ৫-এফইউ ছাড়াও TIP- প্যাকলিট্যাক্সেল, ইফোস্ফ্যামাইড এবং সিসপ্লাটিন যেগুলির অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত অণ্ডকোষের ক্যানসারের জন্য TIP প্রয়োগ করা হয়। মনে রাখতে হবে, অনেক সময় সার্জারির আগে টিউমারের আকার ছোটো করে দিতে কেমোথেরাপির প্রয়োগ করা হয়। তার ফলে টিউমার বাদ দেওয়া অপেক্ষাকৃত সোজা হয়ে যায়। 

ii. লেজার থেরাপি :- এই পদ্ধতি অনুসারে লিঙ্গের টিউমার এবং ক্যান্সার ধ্বংস করতে উচ্চ-তীব্রতার আলো ব্যবহার করা হয়।

iii. বিকিরণ বা রেডিয়েশন থেরাপি :- উচ্চ-শক্তির রেডিয়েশন বা বিকিরণ টিউমারের আকার ছোটো করে দিতে পারে ও ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম।

iv. ক্রায়োসার্জারি :- নাম শুনে অস্ত্রোপচার বলে মনে হলেও আসলে এই পদ্ধতি তথাকথিত সার্জারি নয়। গ্রিক শব্দ ক্রাউস(kruos) থেকে ক্রায়ো (Cryo) শব্দটি এসেছে যার অর্থ বরফের মতো ঠাণ্ডা এবং ‘সার্জারি’ অর্থ শল্য চিকিৎসা। ক্রায়োসার্জারি এমন এক ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে শরীরের ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে মেরে ফেলা হয়। ক্রায়োসার্জারিকে অনেক সময় ক্রায়োথেরাপি বা ক্রায়োবায়োলেশনও বলা হয়।

এই পদ্ধতিতে লিঙ্গের রোগাক্রান্ত অংশ হিমায়িত করার জন্য কিছু ক্রায়োজেনিক এজেন্ট সহ আরো কয়েকটি গ্যাস ব্যবহার করা হয় যেমন তরল নাইট্রোজেন, তরল আর্গন গ্যাস, তরল কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস। ক্রায়োজেনিক এজেন্ট প্রয়োগ করার সময় কটন বাড বা অত্যাধুনিক সরু ছুঁচ প্রয়োগ করা হয়। এই পদ্ধতিতে প্রথমে আলট্রা সাউন্ড অথবা এমআরআই (MRI) যন্ত্র ব্যবহার করে রোগাক্রান্ত কোষ বা টিস্যু চিহ্নিত করা হয়। তারপর ক্রায়োপ্রোব বা ইমেজিং যন্ত্রের সাহায্যে রোগাক্রান্ত কোষে বিভিন্ন ক্রায়োজেনিক এজেন্ট যেমন- তরল নাইট্রোজেন অথবা আর্গন গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। ফলে দশ কি বারো সেকেন্ডের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত কোষের তাপমাত্রা মাইনাস ১২০ থেকে মাইনাস ১৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তাপমাত্রা অত্যাধিক হ্রাসের কারণে কোষের জল জমাট বেঁধে ওই টিস্যু বরফপিণ্ডে পরিণত হয়। বরফপিণ্ডে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধের কারণে টিস্যুটি ক্ষয়ে যায়। পরবর্তী স্তরে ইমেজিং যন্ত্রের সাহায্যে কোষের ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে তাপমাত্রা কুড়ি থেকে চল্লিশ সেলসিয়াস এ তুলে দেওয়া হয়। জমাট বাঁধা টিস্যুটির বরফ তখন গলে যায় এবং কোষ বা টিস্যুটি ধ্বংস হয়ে যায়।

ক্রায়োসার্জারিতে অন্য যে কোনও সার্জারির চেয়ে কম ব্যথা হয়। তাছাড়া কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য বারবার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। এটি কম ব্যয়বহুল এবং করার সময় রক্তপাত প্রায় হয়ই না। তবে যে সব রোগীর ঠান্ডা লাগার সমস্যা আছে তাদের ক্রায়োসার্জারি করা যায় না।

পেনাইল ক্যান্সার যদি বেশি ছড়িয়ে না পড়ে থাকে তাহলে উপরের পদ্ধতিগুলির প্রয়োগ করা যায়। কিন্তু ক্যান্সার বিপজ্জনক রূপ ধারণ করলে প্রচলিত সার্জারি অবধারিত হয়ে উঠতে পারে। 

সার্জারি বিভিন্ন ধরন

i. এক্সিশনাল সার্জারি (Excisional surgery) :- লিঙ্গ থেকে টিউমার অপসারণের জন্য এক্সিশনাল সার্জারি করা হতে পারে। প্রথমে লোকাল অ্যানাসথেসিয়া করে লিঙ্গের ক্যান্সার আক্রান্ত জায়গাটি অসাড় করে দেওয়া হয়। সার্জারির সময়ে ব্যথা রোধ করার জন্য এই ব্যবস্থা। তার পরে  টিউমার এবং আক্রান্ত স্থানটি সরিয়ে ফেলা হবে এবং সুস্থ টিস্যু এবং ত্বকে কাটাছেঁড়া করা হবে না। স্টিচ করে লিঙ্গের কাটা অংশটি মেরামত করে দেওয়া হবে।

ii. মোজ এর সার্জারি :- Mohs Micrographic Surgery বা মোজ সার্জারির উদ্দেশ্য হল লিঙ্গের সমস্ত ক্যান্সার কোষ নির্মূল করার পাশাপাশি যতটুকু সম্ভব কম পরিমাণ টিস্যু বাদ দেওয়া। এই পদ্ধতিতে সার্জন ক্যানসারে লিঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার টিস্যু (কোষকলার) একটি পাতলা স্তর কেটে বার করবেন। এই অংশটির মধ্যে ক্যান্সার কোষ রয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে মাইক্রোস্কোপের নীচে রেখে টেস্ট করা হবে। যতক্ষণ না সার্জন এ বিষয়ে নিশ্চিত হবেন যে লিঙ্গে কোনও ক্যান্সার কোষ বাকি নেই ততক্ষণ এই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি করা হবে।

iii. আংশিক পেনেক্টমি সার্জারি :- আংশিক পেনেক্টমি সার্জারিতে লিঙ্গের কিছু অংশ অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয়। লিঙ্গের টিউমার ছোট হলে এই অপারেশন সবচেয়ে ভালো কাজ করে। বড় টিউমারের জন্য পুরো লিঙ্গ বাদ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। পুরো লিঙ্গ বাদ দেওয়ার সার্জারিকে সম্পূর্ণ penectomy বলা হয়।

যে ধরনের অস্ত্রোপচারই করা হয়ে থাকুক না কেন, সার্জারির পরের প্রথম বছরে প্রতি দুই থেকে চার মাস রোগীকে ডাক্তারের কাছে যেতেই হবে। সম্পূর্ণ লিঙ্গ বাদ দেওয়া হয়ে থাকলে, লিঙ্গ নতুন করে গড়ে দিতে অস্ত্রোপচার করার জন্য রোগী ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। লিঙ্গে ক্যান্সারের কোন পর্যায়ে রোগী চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন তার উপর আরোগ্য এবং সার্জারির পরবর্তী দশা নির্ভর করে। এ কথা বললে ভুল হবে না যে প্রাথমিক পর্যায়ে লিঙ্গের ক্যান্সার বোঝা গেলে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৌলতে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু রোগের বাড়াবাড়ি হওয়ার পরে নিরাময় সোজা নয়। টিউমার যত বড় হয়ে যায় সারিয়ে তোলা ততই কঠিন।

যদি পরের দিকে রোগ নির্ণয় হয় তাহলে চিকিৎসক জটিলতর পদ্ধতির সাহায্য নিতে বাধ্য হন। তাছাড়া সার্জারির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে শরীরের পক্ষে যেগুলি সহ্য করা কঠিন। সার্জনদের এই ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হয়। এই কারণে, লিঙ্গের ক্যানসার অনেকটা ছড়িয়ে পড়ার পরে অনেক সার্জন কাটাছেঁড়া করতে চান না।

সাবস্ক্রাইব করুন

স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন খবর, তথ্য এবং চিকিৎসকের মতামত আপনার মেইল বক্সে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন.

Table of Contents

আমাদের সাম্প্রতিক পোষ্ট গুলি দেখতে ক্লিক করুন

আমাদের বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসক