স্লিপ অ্যাপনিয়া কি ?
ঘুমের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়। এটি একটি রোগ এবং কখনো কখনো মানুষের মৃত্যুর কারণও হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এই রোগটি সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষেরই পরিষ্কার ধারণা নেই। এই সমস্যায় ভুগলেও অনেকে এটিকে রোগ বলে বুঝতেই পারেন না।
এমনিতে মাথায় অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে মৃত্যু অবধারিত। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক না থাকলে অনেক জটিল সমস্যা দেখা দেয়। আমরা ঘুমিয়ে গেলেও আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবেই চলতে থাকে। তার কারণ, আমাদের মস্তিষ্কের রেসপিরেটারি সেন্টার সবসময় সক্রিয় থাকে। তবে কারো কারো ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়। এটিকে স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়।
স্লিপ অ্যাপনিয়া বিরল রোগ নয়। পরিসংখ্যান বলছে, জনসংখ্যার ৪ শতাংশ এই রোগে ভোগেন। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, ২৫ শতাংশ মাঝ বয়সী পুরুষ ও ৯ শতাংশ মাঝ বয়সী নারী স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগেন। স্লিপ অ্যাপনিয়া হলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাস থেমে যায়। শ্বাস প্রশ্বাস আটকে যাওয়ার ব্যাপারটি ১০ সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট সময় পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এরকম অসুবিধা হলে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। এই কারণে সমস্যা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে আমাদের মস্তিষ্কের ওপর সবার আগে প্রতিক্রিয়া হয়। অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ায় মস্তিষ্ক জেগে ওঠে এবং ঘুম ভেঙে যায়।
স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা ঘুম ভাঙার পর শ্বাস নেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। সারা রাত ধরে বারবার শ্বাস বন্ধ ও ঘুম ভাঙার এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। ফলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলেও ঘুমের অভাব পূরণ হয় না। এই সব অসুবিধা গভীর ঘুমের মাঝে ঘটতে থাকে। তাই রোগী এই সমস্যা বুঝতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে সাধারণত তাদের রাতের এই কষ্টের কথা মনেও থাকে না। অন্য দিকে বারবার ঘুম ভাঙার ফলে ঘুমিয়েও ঘুমের অভাব পূরণ না হওয়ার ফলে সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে।
স্লিপ অ্যাপনিয়ার ধরণ
i.যদি মস্তিষ্কের রেসপিরেটরি সেন্টার থেকে শ্বাস নেওয়ার জন্য নির্দেশ না আসে তখন একে বলা হয় সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া। এ সমস্যা হলে মস্তিষ্কের নির্দেশ না আসার কারণে ওই সময়ের শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় না। মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই অসুবিধা ঘটে।
ii.আবার কারো কারো দেখা যায়, মস্তিষ্কের নির্দেশ ঠিক মতোই আসছে কিন্তু শ্বাসনালীর প্রবেশ পথে বাধা তখন একে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়। শ্বাসনালীর প্রবেশ পথটি স্বাভাবিকের চেয়ে সংকীর্ণ অথবা গলার মাংসপেশী স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শিথিল হলে এমন ঘটে।
iii.কারো কারো আবার এই দুটি বিষয় মিলে ঘুমের সময় শ্বাসনালীর প্রবেশ পথটি বন্ধ করে দেয়। কখনও কখনও সেন্ট্রাল স্লিপ অ্যাপনিয়া ও অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া এক সঙ্গে দেখা দেয়। তখন একে বলা হয় মিক্সড স্লিপ অ্যাপনিয়া।
এ সমস্যাগুলোতে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে যায়। আমাদের মস্তিষ্ক অক্সিজেন ছাড়া বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। অক্সিজেন কমে যাওয়ার প্রভাবে মস্তিষ্ক জেগে ওঠে ও ঘুম ভেঙে যায় এবং ঘুম ভাঙার পর রোগী শ্বাস নিতে শুরু করেন। এর পাশাপাশি মস্তিষ্ক আচমকা জেগে ওঠার জেরে দেহ আপদকালীন হরমোন বা স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ শুরু করে দেয়।
মনে রাখতে হবে, আরামের ঘুম আমাদের চনমনে হতে সাহায্য করে ও কাজে মনোযোগী করে তোলে। কিন্তু স্লিপ অ্যাপনিয়াতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঘুম একটা অসুবিধাজনক ব্যাপার হয়ে ওঠে। হঠাৎ জেগে ওঠা ও স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবে হার্টবিট বেড়ে যায়। তার সঙ্গে রক্তচাপও বেড়ে যায়। স্ট্রেস হরমোনের প্রভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায়।
স্ট্রেস হরমোন আমাদের খাদ্য গ্রহণ করার চাহিদাও বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে চর্বি বাড়ে। তাছাড়া প্রদাহ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার জেরে বেশ কিছু রোগ হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ৯০ শতাংশ স্ট্রোক এবং ৭৭ শতাংশ ব্লাড প্রেশার, বুকে ব্যথা ও অস্বাভাবিক হার্টবিট সমেত হার্টের বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এসবের জেরে হার্টঅ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। এমনকি স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মানুষের ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া অবসাদ, মাথাব্যথা এবং মানসিক রোগও বেড়ে যায়।
দিনের বেলায় ঝিমুনি থাকার জন্য গাড়ি চালানো বা কাজ করার সময় দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে ৬০-৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হল বাহন চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়া। এই বিভ্রাটের অন্যতম কারণ হল স্লিপ অ্যাপনিয়া। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ৭০ শতাংশ অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগেন। এ ছাড়া স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত মধ্যবয়সী পুরুষদের যৌন জীবনেও সমস্যা সৃষ্টি হয়।
স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ
i.যারা এই রোগে ভুগছেন তাদের মাঝে সাধারণত নিন্মোক্ত লক্ষণ দেখা যায়। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যায়। নাক ডাকতে হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ থেমে আবার নাক ডাকতে শুরু করে। রোগী নিজে এটা বুঝতে না পারলেও যাঁরা রোগীকে এ অবস্থায় দেখেছেন, তাঁরা এ সমস্যার কথা জানাতে পারেন।
ii.অনেক ক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকার পরও পর্যাপ্ত ঘুম হয় না, সারাদিন ঝিমুনি ভাব থাকে। রোগী কখনও কখনও খবরের কাগজ পড়তে পড়তে বা টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন। অনেক ক্ষেত্রে রোগী কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়েন অথবা গাড়িতে উঠলে ঘুমিয়ে পড়েন। দিনের বেলা বাড়াবাড়ি ঘুম পায় যার প্রভাবে কর্মক্ষেত্রে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম আটকাতে অনেকে আবার অতিরিক্ত চা,কফিতে আসক্ত হয়ে পড়েন। এ ছাড়া কারো কারো সকালে ঘুম থেকে উঠে মাথাব্যথা, হতাশ লাগা, খিটখিটে ভাব প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়। এর সঙ্গে থাকতে পারে যে কোনও কথা ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্তহীনতা, সারা দিন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা।
স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি
i.নাক ডাকা স্লিপ অ্যাপনিয়ার অন্যতম ঝুঁকি। ৮০ শতাংশ স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগীই নাক ডাকে।
ii.অতিরিক্ত ওজন অন্যতম ঝুঁকি। গবেষণায় দেখা যায়, শুধু ১০ শতাংশ ওজন বাড়লে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৬ গুণ বেড়ে যায়।
iii.পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়া পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ২৪ শতাংশ মধ্য বয়সী পুরুষদের স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২ গুণ বেশি।
iv.গলার মাপ পুরুষদের ১৭ ইঞ্চির বেশি এবং নারীদের ১৬ ইঞ্চির বেশি হলে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
v.মদ্যপান করলে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যারা মদ্যপায়ী নন তাঁদের তুলনায় মদ্যপায়ীদের স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৪ শতাংশ বেশি।
vi.কয়েকটি জন্মগত ত্রুটি এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সেগুলি এরকম- ছোট নিচের চোয়াল, পেছনের দিকে ঢুকানো চোয়াল। এ ছাড়া কিছু ব্যাধির সঙ্গেও স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, যেমন- হাইপোথাইরয়েড, অ্যাক্রোমেগালি, সিওপিডি, ডাউন সিনড্রম, নিউরো মাস্কুলার ডিজিস ইত্যাদি।
vii.ফুলে যাওয়া টনসিল ও অ্যাডিনয়েড থাকলে শিশুদের স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
রোগ নির্ণয়
পলিসমনোগ্রাফি অথবা স্লিপ টেস্ট একটি অন্যতম পদ্ধতি যার মাধ্যমে খুব সহজেই এই রোগটি নির্ণয় করা যায়। স্লিপ টেস্টের মাধ্যমে ঘুমন্ত অবস্থায় রোগীর শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তনগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ বুঝে ফেলা যায়। ঘুমের মাঝে কখন, কতবার এবং কি ভাবে শ্বাস বন্ধ হচ্ছে তা এই টেস্ট দ্বারা বোঝা যায়। শ্বাস বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া ঘুমের কোন স্তরে এবং কতক্ষণ স্থায়ী হয়েছিল তাও জানা যায়। যারা রোগীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখেন তাদের বর্ণনা রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে জরুরী। এ ছাড়া ঘুমের মাঝে শ্বাস বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি দেহে কতবার অক্সিজেনের মাত্রায় কি রকম পরিবর্তন হয়েছে এবং সেই হেরফের কতটা ব্যাপক আকার ধারণ করছে তাও নির্ণয় করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কত পরিমাণ বেড়ে গেছে তাও জানা যায়।
এই টেস্ট সারা রাত স্লিপ ল্যাবে হয়ে থাকে কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে হোম স্লিপটেস্টও হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ জরুরী। এই টেস্ট অ্যাপনিয়া-হাইপো অ্যাপনিয়া ইনডেক্স দেখে রোগের মাত্রা (মৃদু, মাঝারি বা তীব্র) নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। অ্যাপনিয়া-হাইপো অ্যাপনিয়া ইনডেক্স দেখে বোঝা যায়, ঘণ্টায় গড়ে কত বার ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়েছে।
চিকিৎসা
সঠিক চিকিৎসায় রোগী সুস্থ জীবন লাভ করেন। চিকিৎসা না করলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, বুকে ব্যথা অনুভব করা, অস্বাভাবিক হার্টবিট, হার্টঅ্যাটাক, স্ট্রোক, অবসাদ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে এমন কি মৃত্যুও ঘটে যায়। ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে রোগটি কত জটিল আকার ধারণ করেছে তার ওপর। লাইফস্টাইল বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
i.অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে।
ii.নাক বন্ধ ও অ্যালার্জির চিকিৎসা করাতে হবে। নাক বন্ধ হওয়া রোধ করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা দরকার।
iii.মদ্যপান, ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
iv.ঘুমের ওষুধ খাওয়া চলবে না।
v.চিৎ হয়ে না ঘুমিয়ে কাত হয়ে ঘুম। ঘুমন্ত অবস্থায় চিৎ না হওয়ার জন্য পিঠের নিচে বালিশ ব্যবহার করলে ভালো।
vi.ক্লান্ত শরীর নিয়ে ও ঘুম পাওয়ার সময় গাড়ি অথবা ভারী যন্ত্রপাতি চালানো উচিৎ নয়।
বিশেষ কিছু চিকিৎসা
আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় পিএপি ডিভাইসের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। এই মেশিনের সাহায্যে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাস বন্ধ হওয়ার সমস্যা দূর করা যায়। দুই ধরনের ডিভাইস আছে, একটি সিপিএপি আর একটি বিপিএপি।
সিপিএপি ডিভাইসভ দ্বারা একটি নির্দিষ্ট চাপে বাতাস প্রবাহিত হয়, যা রোগীর নাক বা মুখ দিয়ে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে দেয় না।
বিপিএপি ডিভাইস (যন্ত্র) দ্বারা দুই ধরনের চাপে বাতাস প্রবাহিত হয়। একটি অক্সিজেনের ঘাটতি কমাতে ও অপরটি কার্বন-ডাই-অক্সাইড বার করতে সহায়তা করে। তবে কোন রোগীর জন্য কোন ডিভাইস প্রয়োজন, সেটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলে দেবেন।
অন্যান্য চিকিৎসা
আজকাল ডেন্টিস্টরা মুখে রাখার উপযুক্ত কিছু ছোট ডিভাইস তৈরি করে দেন, যেগুলি স্লিপ অ্যাপনিয়া কমাতে সাহায্য করে। আবার রোগীর সমস্যা অনুযায়ী কিছু সার্জারি করার প্রয়োজন হয়। বাচ্চাদের যদি বড় টনসিল ও অ্যাডিনয়েড থাকে, তাহলে তারা স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তখন সার্জারি করলে উপকার পাওয়া যায়। যাদের চোয়াল অথবা উপরের তালুর গঠন বেঠিক হয়, তাদের জন্য অন্য রকম সার্জারির প্রয়োজন পড়তে পারে। কোন চিকিৎসা তথা সার্জারি কোন রোগীর জন্য প্রযোজ্য সেটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঠিক করে দেবেন।